
এএফসি কোয়ালিফায়ারে ১-০ তে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার পর ফিফা র্যাঙ্কিং:
১৮ই নভেম্বর বাংলাদেশ যখন ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারায়, তখন শুধু ২২ বছরের কাঙ্ক্ষিত আনন্দ নয় তার সাথে আরও একটি জায়গায় পরিবর্তন দেখা যাবে – সেটি হলো ফিফা র্যাঙ্কিং।
এই বিশ্লেষণটি সম্পূর্ণভাবে ফিফার সর্বশেষ Elo-ভিত্তিক SUM ফর্মুলা অনুসারে করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কী পরিবর্তন হবে?
বাংলাদেশ ভারতকে ১–০ গোলে হারিয়েছে।
এই জয়ের মূল্য ফিফা পয়েন্টে বিশাল পার্থক্য তৈরি করে।
কারণ ভারত বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি রেটিংপয়েন্টের দল।
বাংলাদেশের বর্তমান পয়েন্ট প্রায় ৮৯৪.২১ বা ফিফা রাঙ্কিং ১৮৩।
ভারতের পয়েন্ট প্রায় ১০৯৬.৬৫ বা ফিফা রাঙ্কিং ১৩৬।
এই অবস্থায় কম রেটিং পয়েন্টের দল যখন বেশি পয়েন্টের দলকে হারায়, তখন পয়েন্ট লাভ বেশি হয়।
এই জয়ে বাংলাদেশ প্রায় ১৭.১৩ পয়েন্ট পাবে।
নতুন পয়েন্ট দাঁড়াবে প্রায় ৯১১.৩৪।
ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশ প্রায় ৪ ধাপ উন্নতি করবে।
নতুন র্যাঙ্কিং দাঁড়াবে ১৭৯, আগের ১৮৩ থেকে উন্নতি করে।
ভারতের র্যাঙ্কিং কতটা কমবে?
ভারত এই ম্যাচে হারলে প্রায় ১৭.১৩ পয়েন্ট হারাবে।
ভারতের মোট পয়েন্ট নেমে আসবে ১০৭৯.৫২-এ।
পয়েন্ট কমে গেলে ভারত র্যাঙ্কিংয়ে প্রায় ৬ ধাপ নিচে নেমে যাবে।
অর্থাৎ ভারতের নতুন অবস্থান হবে ১৪২, আগের ১৩৬ থেকে অবনমিত হয়ে।
কেন এমন বড় পার্থক্য?
ফিফা র্যাঙ্কিং নির্ভর করে তিনটি বিষয়ে—
-
ম্যাচের গুরুত্ব
-
প্রতিপক্ষের রেটিং
-
প্রত্যাশিত ফলাফলের তুলনায় বাস্তব ফল
বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী ছিল শুধুমাত্র প্রায় ৩১.৫%।
সেই কারণে জয়টি ফিফা সিস্টেমে অনেক বেশি মূল্য পায়।
আর ভারতের জন্য এই হার প্রত্যাশার নিচে, তাই তারা পয়েন্ট হারায় বেশি।
সংক্ষেপে ফলাফল
| দল | ম্যাচের আগে পয়েন্ট | পরিবর্তন | ম্যাচের পর পয়েন্ট | সম্ভাব্য নতুন র্যাঙ্ক |
|---|---|---|---|---|
| বাংলাদেশ | ৮৯৪.২১ | +১৭.১৩ | ৯১১.৩৪ | ≈ ১৭৯ |
| ভারত | ১০৯৬.৬৫ | −১৭.১৩ | ১০৭৯.৫২ | ≈ ১৪২ |
শেষ কথা
এই হিসাব সরাসরি ফিফার অফিসিয়াল গণনা পদ্ধতির ভিত্তিতে করা।
অন্যান্য দলের ম্যাচের ফলাফলের ওপর র্যাঙ্কিং সামান্য ওঠানামা করতে পারে।
বাংলাদেশ যদি ধারাবাহিক জয় ধরে রাখে, তবে আগামী র্যাঙ্ক আপডেটে আরও বড় উন্নতি দেখা সম্ভব।